ABASON

আবাসন ঋণ

 

আমাদের বাংলাদেশের সকল শহর ও গ্রাম অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত আবাসনের অভাব। দেশের শহরাঞ্চলে আবাসনের ঘাটতি ২০০১ সাল হতে ২০১১ সালের মধ্যে ১১.৩ লক্ষ ইউনিট হতে প্রায় ৪৬ লক্ষ ইউনিটে উন্নীত হয়েছে।২০১১ সাল পর্যন্ত অভিক্ষিপ্ত ঘাটতির পরিমান প্রায় ৮৫ লক্ষ ইউনিট।এছাড়া ও কেবলমাত্র প্রায় ২৮ শতাংশ খানা গৃহে বসবাস করছে। গ্রামাঞ্চলে আবাসন ঘাটতির পরিমান প্রায় ৩৫ লক্ষ ইউনিট বর্তমানে সার্বিকভাবে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গৃহায়ন খাতের সার্বিক ভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গৃহায়ন খাতের সার্বিক চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপরিউক্ত পরিস্থিতির কারণে দারিদ্র দুরীকরনের লক্ষ্য ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে পিকেএসএফ তার সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে শহর ও গ্রাম অঞ্চলের দারিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীদের  চাহিদা ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড- সফলতা সাতে প্রণয়ন ও পরিকল্পনা করে আসছে। এ ধারাবাহিকতা বর্ণিত প্রেক্ষাপটে পিকেএসএফ তার অন্যান্য ঋণ কার্যক্রমের মত সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে আবাসন ঋণ কার্যক্রম চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা আবাসন ঋণের আওতায় এসেছে।

আবাসন ঋণের উদ্দেশ্যঃ আমাদের বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নের লক্ষে পিকেএসএফ কাজ করে আসছে। সদস্যদের নিজস্ব জমিতে আবাসন ঘর নির্মান

১. নতুন গৃহ নির্মান

২. গৃহ সংস্কার ও

৩. গৃহ সম্প্রসারন। আয়ের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষই আবাসন ঋণের প্রধান উদ্দেশ্য।

 

সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ এর সহযোগী সংস্থা হিসাবে ১০০,০০,০০০/- এক কোটি টাকা স্থিতি নিয়ে গত ২৮/০৪/২০১৮ ইং তারিখ থেকে আবাসন ঋণ বিতরণ শুরু করে এবং সংস্থার ৫টি শাখার আওতায় ৩০৫ জন সদস্যদের মধ্যে ৬৫,১৭৯,৪৬৯ টাকা ঋণ স্থিতি রয়েছে।এই আবাসন ঋণগুলো ৫ বছর মেয়াদী ৬০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গৃহায়ন তহবিল থেকে গৃহায়ন ঋণ কার্যক্রম (২য় পর্যায় ফেব্রয়ারী ২০১৬ সন থেকে বাস্তবায়ন আবার শুরু করছে। সংস্থার নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় এই ঋণের কার্যক্রম চলমান। (৩য় পর্যায়) কার্যক্রম মার্চ ২০১৯ খ্রি: সন থেকে বাস্তবায়ন আবার শুরু হয়েছে।  সংস্থাকে ৩য় পর্বে আরও ৩৬টি ঘর নির্মাণের জন্য ২৫২০০০০ (পচিঁশ লক্ষ বিশ হাজার) ঋণ তহবিল সরবরাহ করেছে। উক্ত ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি ঘরের জন্য ৭০ (সত্তর) হাজার টাকা হারে ৩৬টি ঘরের নির্মাণ খাতে সর্বমোট ২৫২০০০০( পচিঁশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ব্যয় হয়েছে।  উক্ত টাকা সংস্থার ঋণ কার্যক্রমের সদস্যভূক্ত ৩৬ জন সদসের নামে ঋণ ভূক্ত করা হয়েছে। ঋণ গ্রহীতা মহিলা ৩৬ জন। ঋণের সার্ভিস চার্জের হার বার্ষিক ৫.৫ পারসেন্ট(ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে)। ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদকাল ৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) কিস্তিতে সমুদয় ঋণ আদায় হবে। মাসিক কিস্তিতে সমিতির সভায় ঋণের কিস্তি প্রতি জন ঋণী থেকে আসল ১২০৪ টাকা ও সার্ভিসচার্জ ১৮৪ টাকাসহ মোট ১৩৩০ টাকা। আগষ্ট-২০২৩  পর্যন্ত সর্বমোট ঋণ গ্রহীতা  ১০৬ জন এবং টাকার পরিমান ৭৪,২০,০০০/-(চুয়াত্তর লক্ষ বিশ হাজার), সার্ভিস চার্জসহ সর্বমোট ৭৬০৬৫৬২/- টাকা আদায় হয়েছে।২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের আগষ্ট-২৩ সমাপণী হিসাবে সাভিসচার্জসহ সর্বমোট ৭৩৯২৭০/- টাকা ঋণস্থিতি মাঠে রয়েছে।